Learn techbd networking bangla

This site is cisco (ccna) networking full course in bangla provided you. Computer tip & tricks. 

রিং টপােলজিতে একটি কম্পিউটার আরেকটির সাথে যুক্ত থাকে এবং শেষ কম্পিউটারটি যুক্ত হয় প্রথম কম্পিউটারের সাথে। এভাবে এটি একটি রিং বা বলয় তৈরি করে। এই বলয়ের প্রতিটি কম্পিউটার সমান অধিকার পায় ডাটা প্রবাহের ক্ষেত্রে।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য এ ধরনের টপােলজি ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের নেটওয়ার্কের বড় সুবিধা হলাে এখানে প্রতিটি কম্পিউটার সমান অধিকার পায় এবং অধিক কম্পিউটারের কারণে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স কমে গেলে সেটি সবার জন্যই প্রযােজ্য হয়।

রিং টপােলজিকে বলা হয় একটিভ টপােলজি। এ টপােলজিতে কোনাে কম্পিউটার অন্য কোনাে কম্পিউটারের নিকট মেসেজ পাঠাতে চাইলে সেটি এর নিকটবর্তী কম্পিউটারের নিকট যাবে। সে কম্পিউটার দেখবে সেই মেসেজটি তার জন্য কি না। সেটি তার জন্য না হলে সে ওই মেসেজকে পরবর্তী কম্পিউটারের নিকট পাঠাবে, এভাবে সেটি গন্তব্যে পৌঁছাবে। প্রতিটি কম্পিউটার সেই সিগন্যালকে বর্ধিত করে পরের কম্পিউটারের নিকট পাঠায়। আর এ টপােলজিতে ডাটা প্যাকেট সবসময় একই দিকে (সাধারণত ঘড়ির কাঁটার দিকে) প্রবাহিত হয়। বাস নেটওয়ার্কের মতাে এখানে কোন টার্মিনেটর ব্যবহারের দরকার পড়ে না, কারণ এখানে উন্মুক্ত প্রান্ত বলে কিছু থাকে না।

Learn techbd networking bangla

বিশেষ ধরনের রিং নেটওয়ার্ক হলাে টোকেন রিং নেটওয়ার্ক। টোকেন রিং নেটওয়ার্কে টোকেন পাসিং বলে একটি পদ্ধতি আছে। এতে একটি সংক্ষিপ্ত মেসেজ, যা টোকেন নামে পরিচিত, রিঙে ঘুরতে থাকে। ওই টোকেনটি যখন যে কম্পিউটারের কাছে থাকে তখন সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডাটা পাঠাতে পারে। ডাটা পাঠানাে শেষ হলেই টোকেনটি আবার ছেড়ে দিতে হবে এবং সেটি রিং বা বলয়ে আবর্তিত হতে থাকবে। যে কম্পিউটারের ডাটা পাঠানাের দরকার পড়বে সে ওই টোকেন ক্যাপচার করবে এবং ডাটা পাঠাবে।

Learn techbd networking bangla

এই টোকেন পাসিং খুব দ্রুত ঘটে থাকে। একটি ২০০ মিটার ব্যাসের বলয়ে একটি টোকেন সেকেন্ডে ১০,০০০ বারেরও বেশি ঘুরতে পারে। ফাইবার ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটা ইন্টারফেস (FDDI) বা ফিডি নেটওয়াক এধরনের রিং টপােলজি ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে।

রিং টপােলজির সুবিধা:

  • প্রতিটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমানভাবে প্রবেশের সুযােগ পায়, কারণ টোকেন প্রত্যেক কম্পিউটারের কাছেই যায়। সে কারণে কোনাে একটি কম্পিউটার পুরাে নেটওয়ার্কে আধিপত্য চালাতে পারে না।
  • সব কম্পিউটারের সমানাধিকার থাকার ফলে নেটওয়ার্ক ডিগ্রেডেশেনও হয়ে থাকে সমানবাবে তার মানে কম্পিউটারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স হ্রাস পায়, হ্রাস পাওয়ার ফল সবাই সমানভাবে ভােগ করে।
রিং টপােলজি নেটওয়ার্কের অসুবিধা:
  • রিঙের একটি কম্পিউটার অকেজো হলে নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায়।
  • রিং নেটওয়ার্কে কোনাে সমস্যা হলে ত্রুটি খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
  • নেটওয়ার্ক রিং থেকে কোনাে কম্পিউটার সরিয়ে নিলে কিংবা এতে কোনাে কম্পিউটার যোগ করলে নেটওয়ার্কের কাজ বিঘ্নিত হয়।


Post a Comment

Previous Post Next Post